ঢাকায় র্যাবের গুলিতে নিহত ১
প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২-এর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আইদুল ওরফে মামা সাগর নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর গেটে এ ঘটনা ঘটে।
আজ বৃহস্পতিবার সদরদপ্তর থেকে পাঠানো এসএসএমসে বলা হয়েছে, বুধবার শেষরাতের দিকে শেরেবাংলা নগর এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। এই এসএমএসে নিহত আইদুলকে শীর্ষ সন্ত্রাসী আশিকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং কারওয়ান বাজার এলাকার একজন শীর্ষ চাঁদাবাজ হিসেবে দাবি করা হয়েছে।
র্যাব-২ এর এই অভিযানে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার এবং দুই র্যাব সদস্য আহত হওয়ার কথা বলা হলেও ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তাদের বার্তায় পাওয়া যায়নি।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফাঁড়ি পুলিশের এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, গতকাল রাত পৌনে ৩টার দিকে র্যাব সদস্যরা গুলিবিদ্ধ এক যুবককে হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেকের মৃত্যু নিবন্ধন খাতায় তাঁর নাম রুবেল বলে উল্লেখ আছে। বয়স আনুমানিক ২৬। নিহতের স্বজনেরা এখনো হাসপাতালে আসেননি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেরেবাংলা নগর থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সুশীল বলেন, ‘এটা র্যাবের বিষয়। তাদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।’
উল্লেখ্য, র্যাবই ঠিক এক মাস আগে আইদুল ওরফে মামা সাগর ও তার সহযোগী সামাদ খলিফাকে গুলিভর্তি অস্ত্রসহ আটকের খবর দিয়েছিল। র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাতে সেই খবর গত ১৭ মে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছিল।
সেই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সাগর রাজধানীর কাওরান বাজার ও ফার্মগেইট এলাকায় ‘সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ চালিয়ে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরে।
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজী এবং ছিনতাই, খুন, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে তিনি জড়িত ছিলেন ছিলেও সেই খবরে জানায় র্যাব। এরপর এক মাসের মধ্যে সেই ব্যক্তি কীভাবে আবার ‘অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে’ সম্পৃক্ত হলেন- সেই ব্যাখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, গতবছর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে বা ‘ক্রসফায়ারে’ মোট ১৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত এক মাসেই এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে কয়েক ডজন। এসব মৃত্যুকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে অভিহিত করে একে দেশে সুশাসনের অন্তরায় হিসেবে অভিহিত করে আসছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলো ও সুশীল সমাজ।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া